Tuesday, September 15, 2009

Bangla: go against dresslin


কিছুদিন আগেও পত্রিকার সম্পাদক সমীপেষূ কলামগুলোতে চোখে পড়ত কোন এক মফস্বল শহরের কোন এক বিবেকতাড়িত ব্যক্তির চিঠি। চিঠিগুলোর মর্ম এমন - অশ্লীল পোস্টারে স্কুল-কলেজের দেয়াল ভরে গেছে, এক টিকিটে দুই ছবি দেখে ছাত্ররা চরিত্র হারাচ্ছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এই অশ্লীলতা বন্ধ করুন। বলা বাহূল্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা চরিত্র হারিয়েছে। কেউ কেক কেটে শততম শিকার উদযাপন করেছে, কেউ ভিডিও করে বাজারে বিক্রি করেছে। নীলখেতে বই কিনতে গিয়ে দেখেছি হকারের হাতে সিডি, মুখে প্রশ্ন ঢাকা ইউনিভার্সিটি লাগবে?
মানিক মিয়ার মোড়ে আটকে আছি। ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুলের বিপরীতে ড্রেসলাইন নামের একটি পোশাক-ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডের দিকে চোখ গেল। রোজা বাঁচানোর আগেই যতটুকু নিউরণ পর্যন্ত পৌছে গেল তাতে বাকি রাস্তা ভাবতে হল -
১. বাংলাদেশে তাহলে এমন পিতা আছে যিনি তার মেয়েকে এভাবে জনসমক্ষে দেখতে গর্ববোধ করেন?
২. বাংলাদেশে তাহলে এমন ব্যবসায়ী আছেন যিনি পশ্চিমা সুড়সুড়ি শিল্প আয়ত্ত করে তথাকথিত পবিত্রতার মাসে সে শিল্পের ডেব্যু এক্সিবিশন করছেন?
৩. ঢাকার অভিভাবকেরা কি চান তাদের ছেলেরা শিখুক কিভাবে মেয়েদের সাথে ব্যবহার (পারিবারিক-সামাজিক ও সর্বোপরি বাণিজ্যিক) করতে হয়?
৪. আমরা কি শেষ পর্যন্ত গুলশান-বনানীর নাইটক্লাব আর পাঁচতারা হোটেল ভিত্তিক বিকৃত রুচির সংষ্কৃতিকে আবহমান বাংলার শালীন সংষ্কৃতির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করছি?
৫. ঢাকার শেষ চক্ষুষ্মান মানুষটিও কি তার বিবেক হারিয়েছে?
ড্রেসলাইনে দয়া করে যাবেন - ওদের পোশাক কিনে নগ্নতার প্রসারে সামিল হতে নয়, অশ্লীলতাকে অন্যায় হিসেবে বুঝিয়ে বলবার জন্য।

No comments:

Post a Comment

Your Ad Here